কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগের 05 বছরের মাস্টারপ্ল্যান
(2021-22 হতে 2026-27 পর্যন্ত)
ক) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প সমূহ :
১। ময়মনসিংহ(রঘুরামপুর)-কিশোরগঞ্জ(বটতলী)-ভৈরব(বাজার) (আর-360) সড়ক 4-লেনে উন্নীতকরণ:
সড়কটি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব বাজারের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হতে শুরু হয়ে কুলিয়ারচর, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ সদর হয়ে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরিপুর, ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জে শেষ হয়েছে। সড়কটি বর্ণিত উপজেলা সমূহের প্রধান সংযোগকারী সড়ক এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর জেলার সংক্ষিপ্ততম রুট।
সড়কটির দৈর্ঘ্য 116 কিলোমিটার এবং পেভমেন্ট প্রশস্থতা 9.10 মিটার (ক্যারেজওয়ে 7.30 মিটার+2×0.90 মিটার) ট্রাফিক চাহিদা বিবেচনায় বর্তমানে সড়কটির প্রশস্থতা পর্যাপ্ত হলেও ভবিষ্যতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক 4-লেনে উন্নীতকরণের সাথে সাথে এ সড়কের ট্রাফিক অনেকগুণ বেড়ে যাবে। বর্ণিত এ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে সড়কটিকে অদূর ভবিষ্যতে 4-লেনে উন্নীতকরণের প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে সুবিধা হলো পর্যাপ্ত অধিগ্রহণকৃত ভূমি থাকায় তেমন ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
2। ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক, (আর-211) সড়ক প্রশস্থকরন :
সড়কটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়ক হতে শুরু হয়ে মঠখোলা, চালাকচর, মনোহরদী, শিবপুর হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মিলিত হয়েছে। সড়কটি ব্যবহার করে কিশোরগঞ্জ হতে কটিয়াদী হয়ে সরাসরি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গমনাগমন সম্ভব হয়। এতে ভৈরব বাজার পরিহার করে ঢাকা গমনাগমনে প্রায় 13 কিলোমিটার দূরত্ব হ্রাস পায়। সড়কটির সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য 45.11 কিলোমিটার। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ অংশের দৈর্ঘ্য 12 কিলোমিটার সড়কটির পেভমেন্ট বর্তমানে 18 ফুট প্রশস্থ। ট্রাফিক চাহিদা বিবেচনায় সড়কটিকে হার্ডসোল্ডারসহ 34 ফুট প্রশস্থতায় উন্নীত করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো পর্যাপ্ত অধিগ্রহণকৃত ভূমি থাকায় তেমন ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। তবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিদ্যমান সেতুর পার্শ্বে আনুমানিক 175 মিটার দীর্ঘ নতুর সেতু নির্মাণের প্রয়োজন হবে।
3। কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়ক, (জেড-3604) :
সড়কটি কিশোরগঞ্জ জেলার নগুয়া মোড় হতে শুরু হয়ে জেলখানা মোড় হয়ে হোসেনপুর উপজেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত খুরশীদ মহল সেতুতে সমাপ্ত হয়েছে। খুরশীদমহল সেতু হতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা হয়ে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়কের ভালুকা পর্যন্ত সড়ক নেটওয়ার্ক বিদ্যমান আছে।
কিশোরগঞ্জ অংশের সড়ক দৈর্ঘ্য 14.8 কিলোমিটার এবং পেভমেন্ট প্রশস্থতা 8.50 মিটার (ক্যারেজওয়ে 5.50 মিটার+2×1.50 মিটার হার্ডসোল্ডার) খুরশীদমহল সেতু হতে ভালুকা পর্যন্ত সড়কটিকে 8.50 মিটার প্রশস্থতায় উন্নীতকরণের চলমান প্রকল্প সমাপ্ত হলে সড়কটির ট্রাফিক চাহিদা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে, এতে সড়কটিকে আরও প্রশস্থকরণের চাহিদা তৈরি হবে। এতে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের জেলাখানা মোড় হতে খুরশীদমহল সেতু পর্যন্ত 11.90 কিলোমিটার সড়কটিকে প্রশস্থকরনের প্রয়োজন হবে। এতে অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণের তেমন প্রয়োজন হবে না।
4। কিশোরগঞ্জ-নিকলী সড়ক, (জেড-3600) :
কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি বর্তমানে সারাদেশের পর্যটক আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, বর্ষা মৌসুমে দিগন্ত বিস্তৃত হাওড়ে পানির উপর ভেসে থাকা সড়কটিতে নৌপথে গমনের জন্য নিকলী উপজেলা সবচেয়ে নিকটতম। এতে হাওড় পাড়ের নিকলী উপজেলাটিও পর্যটক সমাবেশ মুখরিত থাকে। কিশোরগঞ্জ সদরের সাথে নিকলী উপজেলাটি 29.85 কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও 12 ফুট প্রশস্থ পেভমেন্ট বিশিষ্ট জেলা সড়ক দ্বারা সংযুক্ত। বিপুল পর্যটকের চাহিদা মেটানোর জন্য যা অপ্রতুল। বর্তমান ও ভবিষ্যতে চাহিদা বিবেচনা করে সড়কটিকে প্রশস্থ করা দরকার। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যে ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে।
5। হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়ক :
হোসেনপুর উপজেলা সদর ও পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের সংযোগ সড়কটি বর্তমানে এলজিইডির আওতাধীন। পাকুন্দিয়া-টোক সড়কটিতে বর্তমানে 9.7 মিটার ক্যারেজওয়ে বিশিষ্ট সড়কে উন্নীতকরনের কাজ চলমান আছে। যা ব্যবহার করে কাপাসিয়া-শ্রীপুর-রাজেন্দ্রপুর হয়ে সরাসরি ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যাওয়া যায়। ভবিষ্যতে দুই উপজেলার মধ্যে সংযোগকারী সড়কটিকে সওজ এর আওতায় এনে উন্নয়ন করা হলে সড়ক নেটওয়ার্ক আরও সদৃঢ় হবে। এতে দুই উপজেলার সড়ক পথের দূরত্ব 17 কিলোমিটার হ্রাস পাবে।
6। ইন্টারসেকশন উন্নয়ন :
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ, কানুরামপুর, নান্দাইল, বড়পুল, জেলখানা মোড়, বিন্নাটি, কটিয়াদী, ভৈরবের দুর্জয় মোড় ইন্টারসেকশনের উন্নয়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কটিয়াদী ও দুর্জয় মোড় উন্নয়নের জন্য অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।
(খ) পিএমপির আওতায় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ :
1। ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী, (আর-211) সড়ক : উক্ত সড়কটির চেইনেজ 45+000 হতে 33+300 পর্যন্ত সড়কটিতে পিএমপির আওতায় মজবুতীকরণসহ সার্ফেসিং প্রয়োজন।
2। ময়মনসিংহ(রঘুরামপুর)-কিশোরগঞ্জ(বটতলী)-ভৈরব(বাজার) সড়ক, (আর-360) : উক্ত সড়কটির ভৈরব-কিশোরগঞ্জ অংশে পিএমপির আওতায় মজবুতীকরনসহ সার্ফেসিং প্রয়োজন হবে। দৈর্ঘ্য 56.5 কিলোমিটার ও পেভমেন্ট প্রশস্থতা 9.10 মিটার (ক্যারেজওয়ে 7.3 মিটার +2×0.90 মিটার হার্ডসোল্ডার)। এছাড়া আগামী চার বছরের মধ্যে সড়কটির ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ অংশে সার্ফেসিং এর প্রয়োজন হবে। এ অংশের দৈর্ঘ্য 59.50 কিলোমিটার এবং পেভমেন্ট প্রশস্থতা 9.10 মিটার (ক্যারেজওয়ে 7.30 মিটার +2×0.90 মিটার হার্ডসোল্ডার)
3। কিশোরগঞ্জ-নিকলী সড়ক, (জেড-3600) : উক্ত সড়কটি পিএমপির আওতায় সার্ফেসিং ও মাটির কাজ প্রয়োজন হবে। সড়কের দৈর্ঘ্য 29.85 কিলোমিটার ও পেভমেন্ট প্রশস্থতা 12 ফুট।
4। কিশোরগগঞ্জ-হোসেনপুর সড়ক, (জেড-3604) : উক্ত সড়কটির সার্ফেসিং এর প্রয়োজন হবে। সড়কের দৈর্ঘ্য 14.80 কিলোমিটার ও পেভমেন্ট প্রশস্থতা 8.50 মিটার (ক্যারেজওয়ে প্রশস্থতা 5.50 মিটার+2×1.50 মিটার হার্ডসোল্ডার)
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস